সংবাদদাতা:
টেকনাফে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসায়ীকে হামলার পর উল্টো অস্ত্র মামলার আসামী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ মার্চ দিবাগত রাত ১০টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ এলাকায় (জাফর চেয়ারমানের বাড়ীর সামনে) ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার শিকার মো. নুরুল ইসলাম স্থানীয় সিরাজ মিয়া ফকিরের ছেলে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ভুক্তভোগী পরিবারের। ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্ত্বা নিয়ে শঙ্কাবোধ করছে।
ভুক্তভোগী মো. নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ এলাকার নেজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করা হয়। রাতের আধারে আমার বসতবাড়ীতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে স্থানীয় জসিম উদ্দিন, জমির উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, মিজানুর রহমানসহ আরো কয়েকজন লোক জড়িত। দুঃখের বিষয় হলো- হামলাকারীরা উল্টো আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দুইটি মিথ্যা মামলা ঠুকে দেয়। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়রা অবগত হলেও প্রভাবশালীদের কারণে প্রতিবাদ করতে সাহস করছেন।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকার চিহ্নিত কিছু অপরাধীর হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। অসম ক্ষমতা, অবৈধ ব্যবসার টাকার বাহাদুরীর কারণে স্থানীয়রা পিষ্ট হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে নেমে আসে অত্যাচার। প্রতিবাদকারীদের বানানো হয় সাজানো মামলার আসামী। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হয়রানীর শিকার মানুষগুলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া বলেন, অপরাধ দমনে পুলিশ সারাক্ষণ তৎপর। বিনা নকারণে কোন মানুষকে হয়রানী করা একটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।